৪৫০ পুকুরে যেভাবে বদলে গেল গ্রামবাসীর ভাগ্য
প্রকাশিত : ০৬:১৫ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার
৪৫০-পুকুরে-যেভাবে-বদলে-গেল-গ্রামবাসীর-ভাগ্য
গ্রামটির নাম মারমী। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের এ গ্রামের অবস্থান। মারমী গ্রামে চামগড়া ও পদ্ম নামে দুই বিলজুড়ে প্রায় ৪৫০টি পুকুর রয়েছে। মাছ চাষ হচ্ছে প্রতিটি পুকুরেই।
জানা যায়, চামগড়া ও পদ্ম বিলে এক সময় বছরজুড়ে জলাবদ্ধতা থাকতো। ফলে শুধু শীতকালে বিলের অল্প কিছু জমিতে ধান চাষ হতো। অন্য সময় জলাবদ্ধতার কারণে অনাবাদি থাকতো এসব জমি। এখানকার জমির মালিকরা প্রায় ১৫ বছর আগে পুকুর খনন শুরু করেন। মাছ চাষে তাদের ভাগ্য বদল হতে শুরু করে। এছাড়া পুকুর পাড়ে সবজি ও ফলমূলের চাষ হচ্ছে। চামগড়া ও পদ্ম বিলের বেশিরভাগ অংশ মারমী গ্রামে রয়েছে। তবে পার্শ্ববর্তী সুলতানপুর, হাতিগড়া, লাডুলি, বয়রা, শ্যামপুর গ্রামেও রয়েছে এ দুই বিলের সীমানা। এসব গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ এক সময় দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করলেও মাছ চাষ বদলে দিয়েছে এখানকার অর্থনীতি। এছাড়া এখানে প্রায় তিন হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
মারমী গ্রামের মাছ চাষি সোহেল রানা বলেন, বিলের অনাবাদি জমিতে পুকুর খনন করে মালিকরা যেমন লাভবান হয়েছেন, তেমনি পুকুর লিজ নিয়ে মাছচাষ করেও অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছেন। মাছের পাশাপাশি পুকুর পাড়ে সবজি ও ফলমূল চাষ হচ্ছে। তিনটি পুকুরে মাছ চাষ করি আমি। এতে প্রতিবছর যে লাভ হয় তা দিয়ে সংসার খরচ বাদেও সঞ্চয় হয়।
লাডুলি গ্রামের মাছ চাষি শরিফুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, আমি আটটি পুকুরে মাছ চাষ করি। খরচ বাদ দিয়ে বছরে প্রায় ২০ লাখ টাকা আয় হয়। আমার মতো অনেকের মাছ চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা জানান, এ উপজেলায় মোট ২৪৭৬টি পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে মুলাডুলি এবং দাশুড়িয়া ইউনিয়নে পুকুর বেশি। দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মারমী এবং সুলতানপুরসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামে মাছের ব্যাপক চাষা হয়। এসব গ্রামের চাষিরা মাছ চাষ করে লাভবান হয়েছেন।