শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সরকারি জমি আত্মসাতের দায়ে ৮ জনের কারাদণ্ড

প্রকাশিত : ০৬:১৫ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার

সরকারি-জমি-আত্মসাতের-দায়ে-৮-জনের-কারাদণ্ড

সরকারি-জমি-আত্মসাতের-দায়ে-৮-জনের-কারাদণ্ড

সরকারি খাস জমি নামপত্তন জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি শাখার পাঁচ কর্মচারীসহ আটজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক ড. ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার রায় প্রদান করেন।

রায় ঘোষণার পর আদালতে হাজির থাকা সব আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভূমি শাখার উচ্চমান সহকারী রেকর্ড কিপার পুতুল রানী বৈরাগি, অফিস সহকারী (রেকর্ড রুম) শ্যামল কুমার আচার্য, মুদ্রাক্ষরিক বেগম জেসমিন নাহার, সার্টিফিকেট অফিসার (রেকর্ড রুম) মো. সামছুজ্জামান, অফিস সহকারী আফসার উদ্দিন ও আ. মজিদ সরদার, আলী সরদার এবং আ. রাজ্জাক। মামলা নং ২৮/১৭।

আইনজীবী মজিবর রহমান জানান, সাতক্ষীরা শ্যামনগরে সরকারি খাস জমি জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৭ সালে তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১০৯, ৪০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করেন সিআইডির এসআই মোস্তফা আব্দুল হালিম। পরে তদন্ত কর্মকর্তা দুদক, খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক এবিএম আব্দুস সবুর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এদিকে একই দিন সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের আলাদা মামলায় (১১/১৭) আসামি শামীমা আক্তার, শ্যামল কুমার আচার্য, জেসমিন নাহার, সেলিমা সুলতানা, আক্তার উদ্দিন ও মোহাম্মদ হোসেনকে সাত বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামিদেরও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।