শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সেতুর অভাবে মেয়ে বিয়ে দিতে পারছেন না এলাকাবাসী

প্রকাশিত : ০৪:১৫ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার

সেতুর-অভাবে-মেয়ে-বিয়ে-দিতে-পারছেন-না-এলাকাবাসী

সেতুর-অভাবে-মেয়ে-বিয়ে-দিতে-পারছেন-না-এলাকাবাসী

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউপির হামিদ মোড়ের পশ্চিম পার্শ্বে খালের ওপর একটি ব্রিজের অভাবে ২২ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। 

দুর্ভোগ নিরসনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অধীনে একটি সেতু নির্মাণ করা হলেও বছর পার না হতেই সেতুটি মাটির নিচে ডেবে যায়। এতে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন ২২ গ্রামের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক  মানুষ।

এর মধ্যে দুর্ভোগে পড়েন ঘুঘুমারী, সুখেরবাতি, খেদাইমারী, চরঘুঘুমারী, কলেজ পাড়া, পাহালীপাড়া, চর গেন্দার আলগা, দই খাওয়াচর, খাওরিয়ারচর, কাজিয়ারচর গ্রামের যাতায়াতগামী স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী মিলে হাজার হাজার মানুষ। 

জানা গেছে, রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউপির হামিদ মোড়ের পশ্চিম পার্শ্বে খালের ওপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৫৪ লাখ ৪ হাজার ৬৫০ টাকায় ৬০ ফিট একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। 

একটি ব্রিজের অভাবে ২২ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। 

ঠিকাদারের গাফিলতিতে ও নিম্নমানের কাজ করায় উদ্বোধনের আগেই বছর পার না হতেই বন্যার পানির স্রোতে ডেবে যায় ব্রিজটি। একই স্থানে এর আগেও আরো একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল। সেটাও টিকসই হয়নি। 

যার ফলে দুর্ভোগে পড়েন প্রায় ২২টি গ্রামের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। ডেবে যাওয়া সেতুর পাশে একটি বাঁশের নড়বড়ে সাকোঁ দিয়ে ভারি যানবাহন, কৃষি পণ্য, স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থী, সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ী জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। 

বিকল্প রাস্তা না থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। অসুস্থ রোগী ও প্রসূতি মায়েদের নিয়েও পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। এখানে শুকনা মৌসুমে বিকল্প পথে কোন মতে চলাচল করলেও বন্যার শুরু থেকে প্রায় ৭ থেকে ৮ মাস অতি কষ্টে চলাচল করতে হয়।

ঘুঘুমারী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘এখানে সেতু না থাকায় আমাদের মেয়ের জামাই খুঁজতে পারি না। খুঁজতে গেলে যাতায়াত সমস্যার কারণে বিয়েতে অনেকে রাজী হয় না। ছেলের বিয়ের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। এছাড়াও ক্ষেতে উৎপাদিত ধান, চাল বাজারে নেয়ার পারি না।’

স্থানীয় চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান একেএইচএম সাইদুর রহমান দুলাল জানান, ঠিকাদারের গাফলয়াতি ও নিম্নমানের কাজ হওয়ায় এখানকার দুটি সেতু ডেবে যায়। এতে অত্র এলাকার হাজারো মানুষের যাতায়াতে খুবই কষ্ট হয়েছে। তিনি এখানে নতুন করে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানান।