বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন খারিজ
প্রকাশিত : ০৩:১৫ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার
বাবুল-আক্তারের-মামলার-আবেদন-খারিজ
রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা বেগমের আদালত এ আবেদন খারিজ করেন।
মামলার আবেদনে অভিযুক্ত ছয় কর্মকর্তা হলেন- পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার এসপি নাজমুল হাসান, পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর এসপি নাঈমা সুলতানা, নগরের খুলশী থানার ওসি (পিবিআইয়ের তৎকালীন পরিদর্শক) সন্তোষ কুমার চাকমা, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার সাবেক পরিদর্শক একেএম মহিউদ্দিন সেলিম ও পিবিআই পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবির।
মহানগর পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আইনজীবী মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। বাবুল আক্তার সাবেক পুলিশ সুপার। তাকে একজন পরিদর্শক নির্যাতন করার কোনো সুযোগ নেই। প্রায় এক বছর পাঁচ মাস পর তিনি এ অভিযোগ করেন। বাবুল আক্তারকে এর আগে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছিল, তখন অভিযোগ করেননি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন আদালতে জামিন আবেদন করেছেন, তখনো অভিযোগ করেননি। মিতু হত্যা মামলার আসামি হিসেবে মামলাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য তিনি নতুনভাবে এ আবেদন দিয়েছেন বলে মনে করছে আদালত।
৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা বেগমের আদালতে মামলার আবেদনটি করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবীরা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ সেপ্টেম্বর আদেশের দিন ধার্য করে আদালত। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর বিচারক ছুটিতে থাকায় পুনরায় ২৫ সেপ্টেম্বর আদেশের দিন ধার্য করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ১০ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ও জেলা অফিসে বাবুল আক্তারের ওপর নির্যাতন করা হয়। স্ত্রী হত্যার ঘটনায় মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে তার সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের জিইসি মোড়ের কাছে ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার। মামলাটি তদন্ত করছিল নগর ডিবি পুলিশ। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই।