সড়কে গাছ ফেলে ৩ ঘণ্টাব্যাপী ডাকাতি
প্রকাশিত : ০১:১৫ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ রোববার
সড়কে-গাছ-ফেলে-৩-ঘণ্টাব্যাপী-ডাকাতি
ডাকাতির শিকার হন বামন্দী বাজারের সাবান আলীর ছেলে মাইক্রোচালক রাজিব হোসেন। তিনি বলেন, সড়কের ওপর একটি গাছ ফেলে রাখে ডাকাতদল। আর একটি ট্রাক আটকে রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখে। আমি রাজশাহী থেকে রোগী নিয়ে করমদী গ্রামে রেখে বামন্দীতে ফিরছিলাম। পথে ডাকাতদলের কবলে পড়ি। আমি পালিয়ে গেলেও মাইক্রোবাসের গ্লাস ভেঙে দেয় ডাকাতরা।
দেবিপুর গ্রামের বাসিন্দা গণমাধ্যমকর্মী মাহমুদ বলেন, রাত ১১টার দিকে মোটরসাইকেলে বামন্দী বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলাম। বামন্দী-দেবিপুর সড়কে পৌঁছাতেই পথরোধ করে টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় ডাকাতদল। পরে রাস্তার পাশে থাকা একটি ট্রাকের ভেতর বসিয়ে রাখে।
তিনি বলেন, ট্রাকের ভেতর আরো ১৫ জন পথচারীকে আটকে রাখে ডাকাতদল। খবর পেয়ে রাত ২টার পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
ব্রজপুর গ্রামের আব্দুস সালাম ও তার ভায়রাভাই ফিরোজ আলী বলেন, বামন্দীর একটি ক্লিনিকে রোগী রেখে রাতে দেবীপুর গ্রামে শ্বশুর আবু বক্করের বাড়ি যাচ্ছিলাম। বামন্দী-দেবীপুর সড়কের মাঝামাঝি পৌঁছালে আমাদের পথ আটকে দেয় ডাকাতদল। এ সময় আমাদের দুজনের কাছে থাকা ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা।
তারা বলেন, তেঁতুলবাড়িয়া ইউপি সদস্য করমদী গ্রামের আব্দুল ওহাবও ডাকাতের কবলে পড়েন। ডাকাতদল প্রথমেই আমাদের মোবাইল নিয়ে নেয়। এ কারণে আমরা কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।
বামন্দী ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. হিরক আলী বলেন, ডাকাতির ঘটনা বেড়েই চলেছে। রাতে আরো পুলিশি টহল বাড়াতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) অপু সারোয়ার বলেন, ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।