চাঁদপুরে নিজ বাড়িতে আওয়ামী লীগ সদস্য খুন
প্রকাশিত : ০৯:১৫ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার
চাঁদপুরে-নিজ-বাড়িতে-আওয়ামী-লীগ-সদস্য-খুন
শনিবার আনুমানিক সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার পর হাসপাতাল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেয়ারটেকার মিরাজকে ডিবি পুলিশ নিয়ে যায়।
রফিকুল্লাহ চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার এলাকার মৃত হেদায়েত উল্ল্যাহর ছেলে ও চাঁদপুরের প্রথম শহিদ জাবেদ এর ছোট ভাই। তিনি শহিদ জাবেদ মুক্ত স্কাউটের সভাপতি ছিলেন। তিনি অবিবাহিত ছিলেন।
রফিকুল্লাহ নিজ বাসায় শহরের নতুন বাজারস্থ সফিনা বোডিং বিল্ডিংয়ের পাশের ভবনের দ্বিতীয়তলায় বিশ্রামে ছিলেন। মাগরিবের নামাজের পর তার বাসার থাকা কেয়ারটেকার যুবক মিরাজ বাসায় এসে দেখেন কে বা কারা রফিকুল্লাহকে ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে তার ডাক চিকিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে তার মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে আসেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদিপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দিন পিপিএম, পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা ও শত শত জনগণ হাসপাতালে ভিড় জমায়।
খুন হওয়া রফিকুল্লাহর কেয়ারটেকার মিরাজ বলেন, যে ছেলেটি দৌড়ে বাসা থেকে পালিয়ে যায় শুনেছি তার বাসা ওয়ারল্যাস এলাকায়। কাকা কখনো তার নাম আমাকে বলেনি। প্রায় সময় কাকা তাকে কল দিয়ে বাসায় ও অফিসে আনতো। সে যে এ ধরনের কাজ করবে আমি জানতাম না। যদি জানতাম। তাহলে আমি বাসা থেকে বাইরে যেতাম না। আমি মাগরিবের নামাজ পড়তে গিয়েছি। আর বাসায় ফিরে এসে কাকাকে এমন দেখতে হতো না।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদিপ্ত রায় বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি খুন মনে হচ্ছে। আরো তদন্তের বিষয় রয়েছে। তদন্ত শেষে বাকি তথ্য জানানো হবে।
হাসপাতালের ডা. সাগর মজুমদার বলেন, তার শরীরে বেশ কয়েকটি ধারাল ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমন কি একটি ছুরি তার বুকের বাম পাশে গেঁথে ছিল। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, বলার ভাষা নেই। তার সঙ্গে কারো কোনো খারাপ সম্পর্ক ছিল না। তবে যারা তাকে খুন করেছে তার কঠিন শাস্তির দাবি জানাই।