অপকর্মে বাধা দেওয়ায় খুন হন মুমিনুল
প্রকাশিত : ০২:১৫ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার
অপকর্মে-বাধা-দেওয়ায়-খুন-হন-মুমিনুল
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আজিজুল হক একই উপজেলার হাতিলোটা এলাকার আব্দুল হকের ছেলে।
শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার।
তিনি বলেন, নিহত মুমিনুল হক পেশায় গরু ব্যবসায়ী ছিলেন। ২৯ জুন ছেলে ও ভাতিজাকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার মুরাদপুরের ফকিরহাট বাজারে গরু কিনতে যান তিনি। গরু দরদামে না মেলায় ওইদিন বিকেলে অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন তারা।
এ সময় তারা মুরাদপুরের আমিন মোহম্মদ সী-রোডের নতুন গ্যাস অফিসের সামনে পৌঁছালে অটোর গতিরোধ করেন একদল দুর্বৃত্ত। তারা মুমিনুলকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন। একপর্যায়ে সঙ্গে থাকা ধারালো ছুরি, রামদা, খুর ও ক্রিস দিয়ে মুমিনুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এতে মুমিনুল রাস্তার ওপর লুটিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা তার সঙ্গে থাকা এক লাখ ৪৬ হাজার টাকা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যান।
গুরুতর আহত অবস্থায় মুমিনুলকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ১ জুলাই সীতাকুণ্ড মডেল থানায় আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৯-১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের ছেলে আলী হোসেন সবুজ।
সিনিয়র সহকারী পরিচালক নুরুল আবছার বলেন, মামলার পর ৬ সেপ্টেম্বর ঘটনার মূলহোতা সাহাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে র্যাব। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়বকুণ্ড বাজার এলাকা থেকে আজিজুল হক ওরফে ফারুককে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, নিহতের ভাই আকবর হোসেন সীতাকুণ্ডের মুরাদপুর ইউপির পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার। এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ব্যক্তিদের বাধা দিতে গিয়ে তাদের রোষানলে পড়েন দুই ভাই। এ নিয়ে দুই ভাইকে হুমকিও দিয়েছিলেন তারা। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করেন ফারুক। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে। তাকে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।