অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী অদিতি হত্যার মূল হোতা আটক
প্রকাশিত : ১১:১৫ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার
অষ্টম-শ্রেণির-ছাত্রী-অদিতি-হত্যার-মূল-হোতা-আটক
নোয়াখালীর এসপি মো.শহীদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত ওই স্কুল ছাত্রীর নাম তাসমিয়া হোসেন অদিতি। সে স্থানীয় নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল এবং নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীনারায়ণপুর মহল্লার মৃত রিয়াজ হোসেনের মেয়ে। তার মা স্থানীয় একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীনারায়ণপুর এলাকায় ওই শিক্ষার্থীর নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
এসপি জানান, নিহত অদিতির বড় বোন প্রতিবন্ধী। নিহতের মা রাজিয়া সুলতানা উপজেলার জয়নাল আবেদীন মেমোরিয়াল একাডেমির শিক্ষিকা। ভিকটিমের মা সকাল ৭টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে চলে যায় এবং সন্ধ্যা অনুমান ৭টার দিকে বাসায় এসে দেখে বাহির থেকে দরজায় তালা লাগানো। পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়ারাও প্রতিদিনের ন্যায় দরজা বন্ধ থাকায় তারাও কিছু অনুমান করতে পারেনি। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা দরাজা খুলে ভিকটিমের রুম বন্ধ পাওয়ায় ভিকটিমকে খোঁজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ভিকটিমের মা বাসার পেছনের দিকে জানালা দিয়ে দেখে তার মেয়ে গলা কাটা রক্তাক্ত অবস্থায় অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে।
এসপি আরো জানান, পরবর্তীতে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ভিকটিমের মা তার মেয়েকে রক্তাক্ত নিথর দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, প্রতিবেশী নয়নের ছেলে মো. সাঈদ প্রায় সময় তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো। অনেক সময় হুমকিও দিয়েছিল।
এসপি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি দেখে ধারণা করা হচ্ছে হত্যাকারী একা বা দলবল সহ পূর্বপরিকল্পিত সুকৌশলে ওঁৎ পেতে থেকে ভিকটিমকে একা পেয়ে ঘরে ঢুকে ভিকটিমমকে ধর্ষণসহ খুন করে মালামাল লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়।
এসপি বলেন, এ বিষয়ে থানা পুলিশ, ডিবি, পিবিআই, সিআইডি যৌথভাবে কাজ করছে। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে মূল আসামি মো.সাঈদকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আরো তদন্তসহ আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।