শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৬ ১৪৩১   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপকৌশলেও হলো না শেষ রক্ষা, যেতে হলো হাজতে

প্রকাশিত : ১০:১৫ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

অপকৌশলেও-হলো-না-শেষ-রক্ষা-যেতে-হলো-হাজতে

অপকৌশলেও-হলো-না-শেষ-রক্ষা-যেতে-হলো-হাজতে

অবশেষে গ্রেফতার হলেন মাদক মামলার ছয় মাসের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাকির ওরফে সোহেল ওরফে গাজী। টাকার বিনিময়ে তার পরিবর্তে জুয়েল নামে এক যুবককে ভুয়া আসামি সাজিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েও শেষ রক্ষা হলো না তার। শেষে হাজতে যেতেই হলো আসল দণ্ডপ্রাপ্তকে।

বুধবার রাতে জাকিরকে বন্দরের নূরবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠায় বন্দর থানা পুলিশ। এরপর জাকিরকে আদালতের আদেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, বন্দরের  নবীগঞ্জ নূরবাগ এলাকার মৃত সামাদ মিয়ার ছেলে জাকির ওরফে সোহেল ওরফে গাজীকে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শামসুর রহমান গত ১০ আগস্ট মাদক মামলায় ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। চতুর জাকির সাজা থেকে নিজেকে আড়াল করতে  টাকার বিনিময়ে বন্দরের  কদম রসুল এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে জুয়েলকে আসামি সাজিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর  একই আদালতে আপিলের শর্তে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।  আদালত শুনানি শেষে আসামিকে জেলহাজতে পাঠান।

এদিকে, নারায়ণগঞ্জ কারা কর্তৃপক্ষ কারাবন্দিদের ভর্তি রেজিস্টার যাচাই-বাছাই করে দেখেন জাকির নাম পরিচয়ে যিনি জে হাজতে আটক আছেন আসলে তিনি প্রকৃত আসামি নন। এ নিয়ে জুয়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সত্য ঘটনা স্বীকার করেন এবং প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে জেল কর্তৃপক্ষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর একটি প্রতিবেদন আকারে ঘটনাটি আদালতকে অবগত করেন।  আদালত গত ২০ সেপ্টেম্বর  মামলার প্রকৃত আসামি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে পুনরায় সাজা পরোয়ানা জারি করেন। 

বৃহস্পতিবার  বন্দর থানার সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুল বারেক হাওলাদার জাকিরকে গ্রেফতার করে  আদালতে সোপর্দ করেন। আদালত আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর জাকির ও জেলে আটক জুয়েলকে আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়া মামলার  আইনজীবী রেবেকা সুলতানাকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বেঞ্চ সহকারী  জহিরুল ইসলাম জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ২০৭, ২০৮ ও ৩৪ ধারায় নারায়ণগঞ্জ আদালতের দ্বিতীয় অঞ্চলে মামলা হবে। পরে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।