শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশের দারুণ বোলিংয়ে কোণঠাসা শ্রীলংকা

প্রকাশিত : ১১:৩০ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশের-দারুণ-বোলিংয়ে-কোণঠাসা-শ্রীলংকা

বাংলাদেশের-দারুণ-বোলিংয়ে-কোণঠাসা-শ্রীলংকা

চলমান এশিয়া কাপে বি গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলংকা। আজ যারা জিতবে, তারাই যাবে সুপার ফোরে। এমন ম্যাচে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টাইগারদের বোলিং তোপে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে লংকানরা।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রীলংকার সংগ্রহ ১১ ওভারে চার উইকেটে ৮৮ রান। প্রথমে ব্যাট নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৩ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।

শ্রীলংকার হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাংকা। বল হাতে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম ওভারে মাত্র ২ রান দেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে কুশলের সহজ ক্যাচ মিস করেন মুশফিক।

হতাশার সময় অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেনি। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে দলকে জোড়া আঘাত হানেন এ ম্যাচে অভিষিক্ত এবাদত হোসেন। প্রথমে নিশাংকাকে মুস্তাফিজুর রহমান ও এরপর চারিথ আসালাঙ্কাকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি।

সাজঘরে ফেরার আগে নিশাংকা ২০ ও আসালাঙ্কা ১ রান করেন। ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি দানুশকা গুনাথিলাকা ও ভানুকা রাজাপাকশেও। এবাদতের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে গুনাথিলাকা করেন ১১ রান। এক্ষেত্রে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ ধরেন তসাসকিন আহমেদ।

টি-২০ বিশ্বকাপে সবশেষ লড়াইয়ে বাংলাদেশকে একাই হারিয়ে দিয়েছিলেন রাজাপাকশে। তবে তাকে এদিন ২ রানের বেশি করতে দেননি তাসকিন। 

এর আগে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলংকা অধিনায়ক দাসুন শানাকা। বাংলাদেশের হয়ে ইনিংসে উদ্বোধনে নামেন সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

নতুন এই ওপেনিং জুটি অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা সাব্বির রহমান সাজঘরে ফেরেন। আভিষ্কা ফার্নান্দোর বলে কট বিহাইন্ড হয়ে আউট হওয়ার আগে ছয় বলে ৫ রান করেন তিনি। 

সাব্বির ব্যর্থ হলেও এদিন রুদ্রমূর্তিতে ছিলেন মিরাজ। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে লংকান বোলারদের নাভিশ্বাস তোলেন তিনি। তবে অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে ছুঁড়ে দিয়ে আসেন উইকেট।

ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ২৬ বলে ৩৮ রান করেন মিরাজ। তার জায়গায় নেমে সুবিধা করতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। করুণারত্নের বলে মাত্র ৪ রান করেই আউট হন তিনি। 

দ্রুত দুই উইকেট হারালে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এমতাবস্থায় ২৪ রানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেন। ২২ বলে ২৪ রান করে আউট হন সাকিব। 

আফিফ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৫৭ রানের জুটিতে বাংলাদেশ ম্যাচের লাগাম নিজেদের দিকে নিয়ে নেয়। আউট হওয়ার আগে দুজনেই সমান ২২ বল খেলেন। তবে আফিফ করেন ৩৯, রিয়াদ করেন ২৭ রান।

শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেনের ২৪ ও তাসকিন আহমেদের ১১ রানের ক্যামিও ইনিংসে টাইগারদের বড় সংগ্রহ অনেকটা নিশ্চিত হয়।