শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

প্রকাশিত : ০৬:৩০ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার

আফগানদের-বিপক্ষে-বাংলাদেশের-সম্ভাব্য-একাদশ

আফগানদের-বিপক্ষে-বাংলাদেশের-সম্ভাব্য-একাদশ

এশিয়া কাপের চলতি আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে নামছে বাংলাদেশ। মূল দলের কয়েকজনের চোট ও ইনজুরির সুবাদে দীর্ঘদিন পর স্কোয়াডে ফিরেছেন বেশ কিছু ক্রিকেটার। আফগানদের বিপক্ষে জয় দিয়েই এশিয়া কাপ মিশন শুরু করতে চাইবে টাইগাররা।

ইনজুরি এবং ফর্মহীনতার কারণে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে নেই লিটন দাস, ইয়াসির আলী রাব্বী, নুরুল হাসান সোহানদের মতো ক্রিকেটাররা। এর পাশাপাশি মুনিম শাহরিয়ার অফ ফর্মে থাকায় নতুন-পুরাতন মিলিয়ে ১৭ জনের অভিজ্ঞ স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন নির্বাচকরা।

দলের নিয়মিত কিছু মুখ না থাকায় এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে কে কে খেলবেন, এই বিষয়ে আগেভাগে নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। এছাড়া ম্যাচ শুরুর আগে টাইগারদের নতুন টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামও একাদশ নিয়ে কোনো বার্তা দিতে রাজি হননি।

এ অবস্থায় দৈনিক প্রভাতীের পাঠকদের জন্য সম্ভাব্য একাদশ তুলে ধরার চেষ্টা করা হলো।

এশিয়া কাপে উড়াল দেওয়ার আগে দলের নিয়মিত ওপেনারদের কাউকে না রেখে আনামুল হক বিজয় এবং পারভেজ হোসেন ইমনকে নেয়া হয়। পরবর্তীতে যোগ হন নাঈম শেখ। এর মধ্যে বিজয়ের ওপেনিং করা প্রায় নিশ্চিত। অন্য ওপেনার হিসেবে মুশফিকুর রহিম থেকে শুরু করে মেহেদী হাসান মিরাজ কিংবা সাকিব আল হাসানের নামও শোনা গেছে।

এদিকে শেষদিনের সংবাদ সম্মেলনে শ্রীরাম জানান, নাঈম সহজাত আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান এবং তাকে কীভাবে খেলতে হবে সে বিষয়েও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার এমন কথা নাঈমের খেলার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে দল ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন বেছে নিলে শেষ পর্যন্ত নাঈমই হতে পারে বিজয়ের সঙ্গী।

তিনে সাকিব আল হাসানের খেলার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। চারে যথারীতি মুশফিকুর রহিম থাকছেন নিশ্চিত করেই বলা যায়। এছাড়াও এশিয়া কাপে সাকিবের ডেপুটি হিসেবে খেলা আফিফ হোসেনের থাকা নিয়েও নেই কোনো সংশয়।

অভিজ্ঞতার বিচারে এবারের এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচের একাদশে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের টিকে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে অনুশীলন ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৩ বলে ঝড়ো অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংস খেলা মোসাদ্দেক দুবাইতে নেটেও বেশ ইম্প্রেস করেছেন কোচদের। ফলে সাব্বিরকে টপকে মোসাদ্দেকের একাদশে থাকার সম্ভাবনা বেশি।

এরপর দলের নিয়মিত মুখ শেখ মাহেদী হাসান থাকবেন ব্যাট হাতে পিঞ্চ হিটিং কিংবা স্পেশালিস্ট বোলার হিসেবে আফগান ব্যাটারদের পরাস্ত করতে। আবার সর্বশেষ টি-২০ বিশ্বকাপের পর আবার দলে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে মোহাম্মদ সাইফউদ্দীনের। মুস্তাফিজের বোলিং সঙ্গী হওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ঝড় তোলা ও দলের ব্যাটিং গভীরতা বাড়াতে এই পেস বোলার অলরাউন্ডারের মাঠে নামতে পারেন। 

দলের অটোচয়েজ হিসেবেই খেলবেন মুস্তাফিজুর রহমান। শ্রীরামও ম্যাচের আগে বেশ প্রশংসা করেছেন বাঁহাতি এই পেসারের। এর আগে শারজাহতে দুই টি-২০ খেলে দুইবারই উইকেট বুঝতে ভুল করায় একবার বাড়তি স্পিনার অন্যবার বাড়তি পেসার খেলিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এবার আর সেই ভুল করতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট।

এ কারণে দলের একাদশে শেষ ক্রিকেটার হিসেবে উইকেট বিবেচনায় আসতে পারেন নাসুম আহমেদ অথবা তাসকিন আহমেদের মধ্যে কেউ একজন। যদিও শারজার স্পিন বান্ধব উইকেট বিবেচনায় নাসুমের একাদশে থাকার সম্ভাবনা বেশি।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে উড়ন্ত জয় পাওয়া আফগানিস্তান নিজেদের একাদশে পরিবর্তন আনার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: আনামুল হক বিজয়, নাঈম শেখ/পারভেজ হোসেন ইমন, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), আফিফ হোসেন ধ্রুব, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন/সাব্বির রহমান, শেখ মাহেদী হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ/তাসকিন আহমেদ।

আফগানিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ: হজরতউল্লাহ জাজাই, রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইবরাহিম জাদরান, নাজিবউল্লাহ জাদরান, করিম জানাত, মোহাম্মদ নবি (অধিনায়ক), রশিদ খান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নাভিন উল হক, মুজিব উর রহমান এবং ফজল হক ফারুকী।