শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শীতে ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি হতে পারে ইউরোপ

প্রকাশিত : ০৩:৫০ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২২ সোমবার

শীতে-ভয়াবহ-সংকটের-মুখোমুখি-হতে-পারে-ইউরোপ

শীতে-ভয়াবহ-সংকটের-মুখোমুখি-হতে-পারে-ইউরোপ

ইউক্রেনে রুশ অভিযানের পর রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্রসহ তার সব মিত্র দেশ। এতে রাশিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানি বন্ধ করায় বিশ্ববাজারে বাড়তে শুরু করে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম। সেই প্রভাব ঠেকেছে ইউরোপের দেশগুলোতে। আসন্ন কয়েকটি শীতে বিপদে পড়ছে তারা।- খবর বিবিসির।

বেলজিয়ামের জ্বালানি মন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কমানোর উপায় না পেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকে আগামী পাঁচ অথবা দশটি ভয়াবহ শীতের মুখোমুখি হতে হবে।

ইউরোপজুড়ে জ্বালানি সংকট তীব্রতর হচ্ছে। যার ফলে বাজারে জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া। মূলত, মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জবাবে ইইউ’র দেশে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে রুশ গ্যাস কোম্পানি। অথচ গত বছর রাশিয়া ৪০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করেছিল ইউরোপের দেশগুলোতে। এখন বিকল্প উপায়ের সন্ধানে। জার্মানি বলছে, তারা দ্রুত সমাধানের পথ খুঁজছে।

বেলজিয়ামের জ্বালানি মন্ত্রী টিনে ভ্যান ডের স্ট্রেটেন রোববার টুইট বার্তা বলেন, ইউরোপের দেশগুলোর উচিত অবিলম্বে গ্যাসের মূল্য কমানো। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সংশোধনের প্রয়োজন। আমরা যদি এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিই আগামী পাঁচ অথবা দশটি শীত ভয়াবহ হবে। আমাদের অবশ্যই বিকল্প উৎস খুঁজতে হবে।

এদিকে, ইউরোপে গ্যাসের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদ্যুতের দামও নাগালের বাইরে চলে গেছে। কারণ গ্যাস হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান উৎস।

অন্যদিকে, রফতানি সরবরাহ কমায় প্রতিদিন প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের গ্যাস পুড়াচ্ছে রাশিয়া। মস্কো সরবরাহ না কমালে এসব গ্যাস ইউরোপে রফতানি হতো। জার্মানির অভিযোগ, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর গ্যাস নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে রাশিয়া।