রোহিঙ্গা পুনর্বাসন হবে যুক্তরাষ্ট্রে: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০৭:৫০ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার
রোহিঙ্গা-পুনর্বাসন-হবে-যুক্তরাষ্ট্রে-মার্কিন-পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো মিয়নমারের গণহত্যার পঞ্চম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গা প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গারা নিজ ভূমিতে নিরাপদে ফিরে যেতে পারবে না। রাখাইনের সহিংসতায় জীবন নিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে ও অঞ্চলের অন্যান্য স্থানসহ মিয়ানমারের থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে ১৭০ কোটি ডলার মানবিক সহযোগিতা দিয়েছে।
আরো পড়ুন> মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ইস্যু অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জাতিসংঘের
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশসহ অঞ্চলের অন্যান্য দেশ, যারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে সেই দেশগুলোর সরকারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, আন্তর্জাতিক বিস্তৃত জরুরি মানবিক সাড়াদানের অংশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশে থাকা এবং অঞ্চলের অন্যান্য স্থানে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুর্নবাসন উল্লেখজনক সংখ্যায় বাড়াতে কাজ করছি, যাতে তারা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের জীবন পুনর্গঠন করতে পারে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ব্যাপক দমন-পীড়নের মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে দলবেঁধে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। দেশটির রাখাইন রাজ্যে নির্মম নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ। ঐ সময় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়। অবশ্য এর আগে সাড়ে তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে কক্সবাজারে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এত সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে মিয়ানমার সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বার বার তাগিদ দিয়ে আসলেও আশ্বাস ছাড়া এখন পর্যন্ত প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়ে উঠেনি।