প্রথমবার জাতিসংঘে রাশিয়ার বিপক্ষে গেল ভারত
প্রকাশিত : ০৬:৫০ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার
প্রথমবার-জাতিসংঘে-রাশিয়ার-বিপক্ষে-গেল-ভারত
এতদিন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বিপক্ষে মত দেওয়া থেকে বিরত ছিল নয়াদিল্লি, যা যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে ক্ষুব্ধ করেছে। ইউক্রেনে অভিযানের কারণে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমারা। তাদের ইচ্ছা, ভারতের মতো মিত্র দেশগুলোও একইপথ অনুসরণ করুক।
তবে ইউক্রেন ইস্যুতে ভারত কখনোই সরাসরি রাশিয়ার সমালোচনা করেনি। বরং তারা উভয়পক্ষকে কূটনীতি ও আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ মেটানোর আহ্বান জানিয়েছে এবং এ বিষয়ে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ভারত বর্তমানে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য। এ পদে তাদের দুই বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ডিসেম্বরে। দেশটি বহুদিন ধরেই পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার চেষ্টা করছে।
বুধবার ইউক্রেনের ৩১তম স্বাধীনতা বার্ষিকীতে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের ছয় মাসপূর্তি পর্যালোচনায় বিশেষ বৈঠক ডেকেছিল ইউএনএসসি। বৈঠক শুরুর পরপরই ভিডিও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অংশগ্রহণের বিষয়ে একটি ‘পদ্ধতিগত’ ভোটের আহ্বান জানান জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি এ নেবেনজিয়া।
তার এবং আলবেনিয়ার ফেরিট হোক্সার বিবৃতির পর পরিষদ ১৩-১ ভোটে জেলেনস্কিকে ভিডিও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানায়। এ ধরনের আমন্ত্রণের বিরুদ্ধে ভোট দেয় রাশিয়া, আর বিরত ছিল চীন।
বিবৃতিতে নেবেনজিয়া জোর দিয়ে বলেন, রাশিয়া ইউএনএসসি বৈঠকে জেলেনস্কির অংশগ্রহণের বিরোধিতা করে না। তবে এ ধরনের অংশগ্রহণ অবশ্যই সশরীরে হতে হবে।
তিনি যুক্তি দেন, করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালে নিরাপত্তা পরিষদ ভার্চুয়ালি কাজ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে সেসব বৈঠক ছিল অনানুষ্ঠানিক এবং মহামারির ভয়ংকরতম সময় পার হওয়ার পরে পরিষদ আবার আগের নিয়মে ফিরে আসে।
এ মুহূর্তে ভিডিও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে জেলেনস্কি বৈঠকে যোগ দেওয়া নিরাপত্তা পরিষদের নিয়মবহির্ভূত উল্লেখ করে এ বিষয়ে একটি পদ্ধতিগত ভোটের আহ্বান জানান রুশ রাষ্ট্রদূত। তবে তার সেই দাবির বিপক্ষে ভোট দিয়ে জেলেনস্কির অংশগ্রহণকে সমর্থন জানায় ভারতসহ ১৩টি দেশ।
আলবেনিয়ার হোক্সা যুক্তি দেখান, ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে। তাই জেলেনস্কির স্বদেশে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতির কারণে তিনি ভিডিও টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের বৈঠকে অংশগ্রহণকে সমর্থন করেন এবং অন্য সদস্যদেরও তা করার অনুরোধ জানান।