বিশ্বে সবচেয়ে অক্ষম যে দেশের মানুষ!
প্রকাশিত : ০৫:৫০ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার
বিশ্বে-সবচেয়ে-অক্ষম-যে-দেশের-মানুষ
বৃটিশ সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে প্রতি নারীর জন্য একটি সন্তানের হারের চেয়ে এবারের সন্তান জন্মদানের হার দেশটি কম। তবে বুধবার সরকারের প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রজনন ক্ষমতার ০.৮১ হারে নেমেছে, যা আগের বছরের চেয়ে তিন পয়েন্ট কম। দেশটিতে প্রজনন ক্ষমতার হার টানা ছয়বার কমেছে।
বিশ্বের অগ্রসরগামী অর্থনীতির দেশে ১.৬ হারের শিশু রয়েছে। তবে দেশগুলোতে প্রতি দম্পতির জন্য দুটি সন্তান অন্তত থাকা প্রয়োজন। অথ্যাৎ ২.১ হার থাকবে। এটি থাকলে বিদেশে যাওয়া ছাড়া জনসংখ্যা স্থিতিশীল থাকবে।
অরগানাইজেশন ফর ইকোনোমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (দ্য ওইসিডি) বলছে, গত ছয় দশক ধরে প্রজনন ক্ষমতা দ্রুতভাবে কমছে।
তবে দক্ষিণ কোরিয়ায় এটি বেশি শোনা যাচ্ছে। দেশটির পরিবারের সংকীর্ণতা নতুন প্রজন্মের বাড়তি রোধ করেছে। ১৯৭০ দেশটিতে গড়ে প্রত্যেক নারীর চারজন সন্তান ছিল।
ধারাবাহিকভাবে জনসংখ্যা কমতে থাকলে একটি দেশে অনেক প্রভাব পড়তে থাকে। এছাড়াও জনগণের খরচ ব্যয় বেড়ে যায়। এর মধ্যে স্বাস্থ্যখাত ও পেনশন বৃদ্ধি পায়। যুবক জনসংখ্যা কমায় শ্রমিক সংকট হয়, যা অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে থাকে।
২০২০ সালে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মের চেয়ে মানুষের মৃত্যু বেশি হয়। এতে দেশটিতে জনসংখ্যা নিয়ে শঙ্কা বাড়তে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনৈতিক চাপ ও ক্যারিয়ারের জন্য শিশুর বিষয়ে বিবেচনা করছেন না মানুষেরা।
২০২১ সালে বিশেষজ্ঞরা জানান, জীবনযাপন খরচ বৃদ্ধি, বাড়ি বাড়া বৃদ্ধি এবং করোনার প্রভাবে সন্তান নেয়ার ক্ষেত্রে দম্পতিরা অনাগ্রহী।