শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৬ ১৪৩১   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পেনশনের অর্থে কষ্টে চলা কাম্বলিকে লাখ টাকা বেতনের চাকরির প্রস্তাব

প্রকাশিত : ০২:৩০ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার

পেনশনের-অর্থে-কষ্টে-চলা-কাম্বলিকে-লাখ-টাকা-বেতনের-চাকরির-প্রস্তাব

পেনশনের-অর্থে-কষ্টে-চলা-কাম্বলিকে-লাখ-টাকা-বেতনের-চাকরির-প্রস্তাব

ভারতের ক্রিকেটে বিনোদ কাম্বলি যেন এক আক্ষেপের নাম। মহাতারকা হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখালেও যিনি সেই আশা পূরণ করতে পারেননি। সম্প্রতি জানা যায়, খুব অর্থকষ্টে রয়েছেন সাবেক এই ক্রিকেটার। এমতাবস্থায় তাকে লাখ টাকা বেতনের চাকরির প্রস্তাব দিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।

জানা গেছে, কাম্বলিকে ক্রিকেট সংক্রান্ত কোনো কাজ করতে হবে না। সেখানে সাবেক এই ক্রিকেটারকে আর্থিক হিসাবনিকাশের একটি কাজে চান সেই ব্যবসায়ী। কাম্বলি সেই চাকরি নেবেন কি না, তা এখনো জানা যায়নি।

কিছু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে কাম্বলি জানিয়েছিলেন, কোনো কাজ পাচ্ছেন না তিনি। বোর্ডের দেওয়া মাসিক ৩০ হাজার টাকা পেনশন দিয়েই দিন চালাচ্ছেন শচীন টেন্ডুলকারের বন্ধু।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সেই কথা জানতে পেরেই মহারাষ্ট্রের এক ব্যবসায়ী কাম্বলিকে কাজ দিতে চান বলে জানিয়েছেন। কাম্বলি যদিও ক্রিকেট সংক্রান্ত কোনো কাজ খুঁজছিলেন। আর্থিক হিসাবনিকাশের কাজের এই প্রস্তাবে তিনি রাজি হবেন কি না জানাননি ভারতের সাবেক ক্রিকেটার।

শচীনের বাল্যবন্ধু কাম্বলি। মুম্বাইয়ের সারদাশ্রম স্কুল থেকে শুরু হওয়া বন্ধুত্ব এগিয়েছিল ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাজঘর পর্যন্ত। ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর থেকে কখনও নির্দিষ্ট কোনো কাজ করেননি কাম্বলি। মুখ ফিরিয়ে থাকেননি শচীন। এক সময় প্রিয় বন্ধুকে কাজের ব্যবস্থা করে দেন।

নিজের টেন্ডুলকার মিডলসেক্স গ্লোবাল অ্যাকাডেমিতে তরুণ ক্রিকেটারদের মেন্টর হিসেবে কাম্বলিকে নিয়োগ দিয়েছিলেন শচীন। কিন্তু তার অ্যাকাডেমি কাম্বলির বাড়ি থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। এত দূরের অ্যাকাডেমিতে গিয়ে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছিল ৫০ বছরের সাবেক ক্রিকেটারের। তাই সেই দায়িত্ব ছেড়ে দেন।

তারপর থেকেই নির্দিষ্ট কোনো আয় ছিল না কাম্বলির। তিনি বলেন, ‘প্রতি দিন সকাল পাঁচটায় উঠতে হত। ক্যাব নিয়ে পৌঁছাতে হত ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে। আবার বিকালে বিকেসি মাঠে কোচিং করাতাম। এত ধকল নিতে পারছিলাম না।’

সেই কাজ ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে নির্দিষ্ট কোনো কাজ করছেন না কাম্বলি। বোর্ডের পেনশন দিয়েই দিন চলছে তার। কাম্বলির মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে। মদ্যপানের অভ্যাস থাকায় অতীতে বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন কাম্বলি।

আকণ্ঠ মদ্যপান করে পরের দিন মাঠে নেমে সেঞ্চুরি করেছেন কাম্বলি। মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে ধাক্কা মেরেছেন আবাসনের দেওয়ালে। মদ ছাড়া থাকতে পারেন না। কিন্তু চাকরির জন্য সেই মদ্যপান ছাড়তেও রাজি কাম্বলি।

ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘সব জায়গার কিছু নির্দিষ্ট নিয়মকানুন থাকে। সবাইকে তা মেনে চলতে হয়। যদি আমাকে চাকরি করতে হলে মদ ছেড়ে দিতে হয়, তা হলে আমি সঙ্গে সঙ্গে সেটা করব। কোনো সমস্যা হবে না। আমার কাজ দরকার।’