বিশ্বকে খাওয়ানোর কথা বলে নিজেই খাদ্য সংকটে ভুগছে ভারত
প্রকাশিত : ০৬:৫০ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২২ রোববার
বিশ্বকে-খাওয়ানোর-কথা-বলে-নিজেই-খাদ্য-সংকটে-ভুগছে-ভারত
রোববার ব্লুমবার্গের প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মোদির এ প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আগে থেকে ভারতে তীব্র দাবদাহ শুরু হয়। মার্চে শুরু হওয়া এ দাবদাহ দেশটির গম উৎপাদন হুমকির মুখে পড়ে। এতে শস্যটির উৎপাদন কমে যায়। আর দাম বাড়তে থাকে। ফলস্বরূপ লাখ লাখ ভারতীয়, যারা নান ও চাপাতির মতো গমের খাবারের ওপর নির্ভরশীল, তাদের দৈনন্দিন জীবন আরোও ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে।
গমের বাম্পার ফলন হবে না–এমন পূর্বাভাসে ভারত সরকার মে মাসের মাঝামাঝি শস্যটির রফতানি সীমিত করতে বাধ্য হয়।
ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার তথ্য বলছে, বিগত ১৪ বছরের মধ্যে চলতি আগস্টে রাজ্যের রিজার্ভ সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। সেই সঙ্গে গমের মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
গমে ক্রমবর্ধমান ঘাটতি ও উচ্চমূল্যের কারণে ভারত অন্য দেশ থেকে শস্যটি কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমনকি কিছু কিছু অঞ্চলে ময়দা মিলারদের গম আমদানিতে সাহায্য করতে শস্যটির ওপর ৪০ শতাংশ আমদানি কর কমানো বা প্রত্যাহার করা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। তবে বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের পরিচয় গোপন রাখার অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে জানতে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ব্লুমবার্গ যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে রোববার দুপুরে দেশটির খাদ্য বিভাগ এক টুইটবার্তায় জানায়, গম আমদানির কোনো পরিকল্পনা নেই। দেশে প্রয়োজন পূরণের জন্য পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী দেশ ভারত কখনোই একটি বড় গম রফতানিকারক দেশ ছিল না। এছাড়া বার্ষিক উৎপাদনের প্রায় শূন্য দশমিক শূন্য ২ শতাংশের বেশি কখনোই আমদানি করেনি ভারত। দেশটি মোটামুটি গমে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল।