শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শুধু অনন্ত নয়, তালিকায় আছেন আলমগীর-ডিপজলসহ অনেকেই: মিশা

প্রকাশিত : ০৭:২০ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২২ সোমবার

শুধু-অনন্ত-নয়-তালিকায়-আছেন-আলমগীর-ডিপজলসহ-অনেকেই-মিশা

শুধু-অনন্ত-নয়-তালিকায়-আছেন-আলমগীর-ডিপজলসহ-অনেকেই-মিশা

দীর্ঘ আট বছর পর মুক্তি পেয়েছে অনন্ত জলিলের নতুন সিনেমা ‘দিন দ্য ডে’। বরাবরের মতো এবারো তার সঙ্গী হয়েছেন বর্ষা। এই সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে দেখা গেছে ঢাকাই সিনেমার খ্যাতিমান অভিনেতা মিশা সওদাগরকে।

বলা চলে, অনন্ত-বর্ষার সিনেমা মানেই মিশা সওদাগরের উপস্থিতি। তবে এই তারকা দম্পতির পরবর্তী সিনেমা ‘নেত্রী দ্য লিডার’-এ দেখা যাবে না মিশাকে। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিশা সওদাগর বলেন, শত কোটি টাকা দিয়ে অনন্ত জলিলের ‘দিন দ্য ডে’ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে দর্শক হয়তো বিনোদন পেয়েছে, কিন্তু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তো কোনো লাভ হয়নি।

এই খল-অভিনেতার ব্যক্তিগত মতামত, এত বড় অংকের টাকা দিয়ে তিনি (অনন্ত জলিল) ফিল্ম স্টুডিও, প্রোডাকশন হাউস, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বানালে অভিজ্ঞ, প্রবীণ ও এই সময়ের মেধাবী নির্মাতা, যোগ্য শিল্পী কলাকুশলীরা কাজ করতে পারবেন। এতে চলচ্চিত্র শিল্পের প্রভূত উন্নতি হবে। শত কোটি টাকা দিয়ে একটি সিনেমা না বানিয়ে এই অর্থে বছরে কমপক্ষে অর্ধশত সিনেমা নির্মাণ করলে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির চেহারা পাল্টে যেতে বাধ্য। এতে অনন্ত জলিল ‘কালচারাল ইমপোর্টেন্ট পারসন’ এবং চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি হয়ে উঠতে পারবেন।

এদিকে গত শনিবার (১৩ আগস্ট) মিশা সওদাগরের এসব মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন অনন্ত জলিল। এদিন বিকেলে যমুনা ব্লকবাস্টারে ‘দিন দ্য ডে’র প্রদর্শনীতে গিয়ে তিনি জানান, মিশা সওদাগর একজন পুরোনো আর্টিস্ট। তিনি যেটা ভেবেছেন, সেটা বলেছেন। তিনি প্রযোজকও না, ক্রিয়েটিভ পার্সনও না। তার দ্বারা সিনেমার উন্নতি হয় না। যার কোনো ধরনের ইনভেস্টমেন্ট নেই, যার নতুন ক্রিয়েটিভিটি নেই তার দ্বারা চলচ্চিত্রের উন্নতি হবে কীভাবে?

অনন্ত জলিলের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে একটি গণমাধ্যমকে মিশা জানান, অনন্ত জলিল আমার কথা ভুলভাবে বুঝেছেন কিংবা ভুলভাবে ব্যাখা করেছেন। হতে পারে, কেউ তাকে আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে। আমি আসলে অনন্ত জলিলের সমালোচনা করিনি, বাজেটের করেছিলাম।

তিনি আরো বলেন, একজন মানুষ হিসেবে অনন্ত দারুণ। তিনি ভালো ব্যবসায়ী। একজন ভালো প্রযোজক। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দারুণ একটা গুণ আছে। কিন্তু মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ফলাও করে বলাটা হয়তো উচিত নয়। চলচ্চিত্রের মানুষদের পাশে শুধু অনন্তই নয়, আরো অনেকেই দাঁড়ান। তারা কিন্তু কখনো এগুলো সামনে আনেন না। আলমগীর ভাই, তিনি কত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তা জানলে সবাই অবাক হবেন। কিন্তু সেটা তিনি সামনে আনতে চান না। ডিপজল সাহেব কী পরিমাণ হেল্প করেন ধারণা আছে কারও? এই তালিকায় আরও অনেকেই আছেন।

‘চলচ্চিত্রে মিশার কোনো অবদান নেই’ অনন্ত জলিলের এই মন্তব্যের জবাবে মিশা বলেন, অবদান না থাকলে তো তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেতাম না। আমি নিজেও ছবি প্রযোজনা করেছি। তবে সেটি তেমন ব্যবসা করেনি।