সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে আন্তঃদেশীয় কার্যকরী পদক্ষেপ প্রয়োজন: পলক

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, কোনো দেশের পক্ষে একার সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এটি মোকাবিলায় আন্তঃদেশীয় যোগাযোগের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।

সোমবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগের অধীনে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি আয়োজিত ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জাতীয় পর্যায়ে উদীয়মান (ইমার্জিং) সাইবার হুমকি’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইসিটি বিভাগের বিজিডি ই-গভ সার্ট কাজ করছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সাইবার হামালার সম্ভাব্য ঝুঁকি ও রক্ষার বিষয়ে অবহিত করছে। বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সাইবার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সূচকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, হ্যাকারদের সাম্প্রতিক কর্মকণ্ডে ব্যাংকিং ও সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সঞ্চালন লাইনগুলো ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখতে মূলত ৪টি পূর্বশর্ত নিশ্চিত করতে হবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ।

তিনি আরো বলেন, ওপেনসোর্স ইন্টিলিজেন্স বা ওএসআইএনটির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে সাম্প্রতিক সময় স্টেট স্পন্সর হ্যাকারদের তৎপরতা বেড়েছে। এজন্য সবাইকে সতর্ক ও প্রযুক্তি দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আর্থিক ও পাওয়ার সেক্টর ছাড়াও দেশের মোবাইল অপারেটরদের ওপর দৃষ্টি পড়েছে সংঘবদ্ধ হ্যাকারদের। গোপনেই মোবাইল অপারেটরগুলো সাইবার হামলার শিকার হচ্ছে। এরই মধ্যে একাধিক মোবাইল অপারেটর ইনফেক্টেড। অপারেটরগুলোর ডেটাবেজ, সার্ভার ও পরিকাঠামো আক্রান্ত হয়েছে। এজন্য দ্রুত আইটি অডিট করিয়ে ডিএসএ-তে সফটওয়্যার টেস্টিং ল্যাব থেকে সংশ্লিষ্টদের নিরীক্ষা করিয়ে নেয়া প্রয়োজন।

এ সময় আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক মো. খায়রুল আমিন, বিজিডি ই-গভ সার্ট পরিচালক তারেক মোসাদ্দেক বরকতউল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।