শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১ |   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিলকিসের ১১ ধর্ষকের মুক্তির প্রতিবাদে উত্তাল ভারত

প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২২ ১৭ ০৫ ০১  

বিলকিসের-১১-ধর্ষকের-মুক্তির-প্রতিবাদে-উত্তাল-ভারত

বিলকিসের-১১-ধর্ষকের-মুক্তির-প্রতিবাদে-উত্তাল-ভারত

২০০২ সালে বিলকিস বানু নামের এক নারীকে গণধর্ষণে দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ ধর্ষককে মুক্তির প্রতিবাদে উত্তাল হচ্ছে ভারত। এরইমধ্যে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে  আন্দোলন। সে আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছেন ছাত্র, তারকা ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারাও।

২০ বছর আগে দাঙ্গার সময় গুজরাটে বিলকিস বানু নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন ১১ ব্যক্তি। ঐ সময় বিলকিস বানুর পরিবারের ১৪ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়। ধর্ষণের ঘটনায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন সাজা হয়। কিন্তু ১৫ বছর সাজা কাটার পর ভারতের গুজরাট সরকার তাদের সাজা মওকুফ করে দেয়। 

২০০২ সালে দাঙ্গার সময় গুজরাটের মূখ্যমন্ত্রী ছিলেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদি। তার ঐ সময়ে ন্যাক্কারজনক এই ঘটনা ঘটেছিল। এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে দ্বিতীয়বার আসীন হওয়ার পর ঐ সময়কার ধর্ষণের অপরাধের ক্ষমা পেলেন ১১ জন।

১১ ধর্ষককে মুক্তির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন করছেন নারী ও পুরুষরা। তারা সরকারকে ধর্ষকদের মুক্তির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন।

ভারতের চলচ্চিত্র তারকা ও নারী অধিকার কর্মী শাবানা আজমি দিল্লির এক আন্দোলন থেকে বলেন, বিলকিস বানু ও তার পরিবারের সঙ্গে আমাদের দেশে যা হয়েছে তা আমরা মেনে নিতে পারি না। নারী হিসেবে আমরা ধর্ষকদের মুক্তি দেখা সহ্য করতে পারছি না।

আন্দোলনে অংগ্রহণকারী ছাত্রী অদিতি বলেন, ধর্ষকদের মুক্তির ফলে নারী বিদ্বেষ ও পিতৃতন্ত্র আরো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এটি নারী বিদ্বেষকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। ধর্ষকদের সিদ্ধান্ত নারীকে ধর্ষণ করা স্বাভাবিক হিসেবে উপস্থাপন করছে। 

এদিকে, ভারতের প্রধান বিচারপতি বরাবর একটি চিঠি লিখেছেন ১০০-এর বেশি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তারা বিলকিস বানুর ধর্ষকদের মুক্তিকে সব নারীর নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন।

ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস ১৫ আগস্টে বিলকিস বানুর ১১ ধর্ষককে মুক্তি দেয় ভারতের গুজরাট সরকার। ঐ সময় ধর্ষকরা কারাগার থেকে বের হওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।

সেই ভিডিওতে দেখা যায়, ধর্ষকরা যখন গোদরা কারাগার থেকে বাইরে সারিবদ্ধভাবে বের হয় তখন স্বজনরা তাদের মিষ্টি খাওয়াচ্ছিল। তাদের পা ছুঁয়ে সম্মান জানাচ্ছিল স্বজনরা।

ঐ সময় বিলকিস বানু গুজরাট সরকারের এ সিদ্ধান্তকে অন্যায় হিসেবে অভিহিত করেন এবং বিচারের প্রতি তার বিশ্বাস নড়ে গেছে বলেও জানান।

সূত্র- বিবিসি

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর