শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১ |   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাঁচা-মরার ম্যাচে কাল মুখোমুখি পাকিস্তান ও হংকং

প্রকাশিত: ১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪ ০২ ০২  

বাঁচা-মরার-ম্যাচে-কাল-মুখোমুখি-পাকিস্তান-ও-হংকং

বাঁচা-মরার-ম্যাচে-কাল-মুখোমুখি-পাকিস্তান-ও-হংকং

বাঁচা-মরার ম্যাচে কাল এশিয়া কাপের ষষ্ঠ ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও হংকং। এ ম্যাচের বিজয়ী দল সুপার ফোরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। আর হেরে যাওয়া দলকে এবারের এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হবে। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তান ও হংকং ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।

‘এ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই হারের স্বাদ পায় পাকিস্তান ও হংকং।  গ্রুপের আরেক দল ভারতের কাছে নাস্তানাবুদ হয় তারা। পাকিস্তান ৫ উইকেটে এবং হংকং ৪০ রানে ভারতের কাছে হার মানে। দুই ম্যাচ জিতে গ্রুপের সেরা দল হয়ে সুপার ফোরে উঠে ভারত। এখন কঠিন পরীক্ষার মুখে পাকিস্তান ও হংকং। সুপার ফোরে খেলতে হলে জয় ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা নেই দু’দলের সামনে।

ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের টপ-অর্ডার ব্যাটাররা নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। ১২৮ রানে নবম উইকেট হারায় তারা। শেষ উইকেটে ১৯ রানের সুবাদে লড়াকু পুঁজি পায় পাকিস্তান। সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তুলে তারা। দলের পক্ষে ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ৪৩ রান করেন।

১৪৭ রানের পুঁজি নিয়েও, দারুন বোলিং পারফরমেন্স দেখায় পাকিস্তানের বোলাররা। অভিষেক ম্যাচেই বল হাতে নিজের জাত চেনান পেসার নাসিম শাহ। নাসিমের বোলিংয়ে শুরু থেকেই দ্রুত রান তুলতে পারেনি ভারত। পরের দিকে শাহনাওয়াজ দাহানি-হারিস রউফ-শাদাব খান ও মোহাম্মদ নাওয়াজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিলো ভারত। ১৫ ওভার শেষে ভারতের আস্কিং রেট ১০ অতিক্রম করে। কিন্তু শেষ দিকে ১৭ বলে অপরাজিত ৩৩ রান করে পাকিস্তানের স্বপ্ন ভঙ্গ করেন ভারতের হার্ডিক পান্ডিয়া।

ভারতের কাছে হারলেও, হংকংয়ের বিপক্ষে জিতে সুপার ফোর খেলতে মরিয়া পাকিস্তান। দলের পেসার রউফ বলেন, আমরা প্রথম ম্যাচে লড়াই করে হেরেছি। তবে আমাদের আত্মবিশ্বাসে কোন ছেদ পড়েনি। সবাই হংকংয়ের বিপক্ষে জ্বলে উঠতে মরিয়া ও ভালো খেলে জয়ে দিয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করতে চায়।

অন্য দিকে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে লড়াইয়ের পণ করেই মাঠে নেমেছিলো হংকং। তাই পরিকল্পনা করে টস জিতে প্রথমে বোলিংও নেয় হংকং। শুরু থেকেই ভারতকে চাপে রাখে তারা।  প্রথম ১০ ওভারে ৭০ রানের বেশি তুলতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। পরের দিকে, সূর্যকুমার যাদবের ২৬ বলে ঝড়ো ৬৮ এবং কোহলির ৪৪ বলে ৫৯ রানের সুবাদে ২ উইকেটে ১৯২ রানের বড় স্কোর করে ভারত।

১৯৩ রানের বড় টার্গেটের জবাবটা ভালোমত দিতে না পারলেও, সম্মানজনক স্কোর করতে পারে হংকং। ৫ উইকেটে ১৫২ রান তুলে ম্যাচ হারে তারা।

ভারতের বিপক্ষে চমক দেখাতে না পারলেও, পাকিস্তানের বিপক্ষে জ্বলে উঠতে মরিয়া হংকং। দলের ব্যাটার বাবর হায়াত বলেন, ভারতের বিপক্ষে আমরা দল হিসেবে ভালোই খেলেছি। তবে আমাদের লক্ষ্য ছিলো জয়। আশা করছি, পাকিস্তানের বিপক্ষে চমক দেখাতে পারবো।

টি-২০তে এবারই প্রথম লড়বে পাকিস্তান ও হংকং। তবে ওয়ানডেতে তিনবার মুখোমুখি হয়েছিলো তারা। তিনবারই জয় পায় পাকিস্তান। সবগুলো ম্যাচই ছিলো এশিয়া কাপের মঞ্চে।

২০০৪ সালে বৃষ্টি আইনে ১৭৩ রানে, ২০০৮ সালে ১৫৫ রানে এবং ২০১৮ সালে ৮ উইকেটে হংকংকে হারিয়েছিলো পাকিস্তান।

পাকিস্তান দল : বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান, আসিফ আলি, ফখর জামান, হায়দার আলি, হারিস রউফ, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নাওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), হাসান আলি, নাসিম শাহ, শাহনেয়াজ দাহানি, মোহাম্মদ হাসনাইন ও উসমান কাদির।

হংকং দল : নিজাকাত খান (অধিনায়ক), স্কট ম্যাককেইন (উইকেটরক্ষক), ইয়াসিন মর্তুজা, বাবর হায়াত, কিঞ্চিত শাহ, আইজাজ খান, এহসান খান, আইয়ুশ শুকলা, জিশান আলী, মোহাম্মদ গাজানফার, হারুন আরশাদ।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী