শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৬ ১৪৩১ |   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পাতিহাঁসের ডিম কালোর রহস্য উদঘাটন!

প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬ ০৪ ০১  

পাতিহাঁসের-ডিম-কালোর-রহস্য-উদঘাটন

পাতিহাঁসের-ডিম-কালোর-রহস্য-উদঘাটন

পাতিহাঁসের কালো ডিম পাড়া নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। এ নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে দেশের প্রাণিবিজ্ঞানীদের মধ্যেও। 

ডিমের খোলস সাধারণত তৈরি হয় ক্যালসিয়াম কার্বনেটের মাধ্যমে। ডিমের খোলস সাধারণভাবে সাদা হলেও প্রায়ই হালকা সবুজ, নীলচে আভা ও হালকা গোলাপি রঙের ডিমও চোখে পড়ে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, রঙের এই পরিবর্তনের পেছনে দুটি জৈব উপাদান ভূমিকা রাখে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পাখি গবেষক আ ন ম আমিনুর রহমান জানান, প্রাণিদেহের রক্তকণিকা ভেঙে বিলিভারডিন নামে একটি উপাদান বের হয়। এটা কম-বেশি হওয়ার কারণে ডিমের খোলসের রং নীলচে বা সবুজাভ হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে জরায়ুতে ডিমের খোলসটি পরিণত হওয়ার সময়ে তাতে গাঢ় সবুজ রঙের পিত্তরস বেশি থাকতে পারে। ওই দুটি উপাদান জরায়ুতে বেশি থাকলে তা থেকে ডিমটির রং কালো হতে পারে। এ ধরনের কালো ডিম হওয়ার ঘটনা বাংলাদেশে খুবই ব্যতিক্রম। সম্ভবত এটি প্রথমবার ঘটল।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, হাঁসটি পরে যে ডিমগুলো পাড়বে, তা ধীরে ধীরে সবুজ বা নীল রং থেকে সাদা রঙের হতে পারে। হাঁসটির শরীরের ভেতরে খোলস তৈরির প্রক্রিয়ায় কিছু উপাদান অনেক বেশি থাকায় তা কালো রঙের হয়েছে। তবে এই ডিমের খোলস ছাড়া ভেতরের সাদা অংশ ও কুসুম অন্য হাঁসের ডিমের মতোই হবে, সেটি খাওয়া যাবে।

চরফ্যাশনের জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাঢ়ীর বাড়ির বাসিন্দা আবদুল মতিনের (৪৭) খামারে ওই পাতিহাঁস গত দুইদিনে দুটি কালো রংয়ের ডিম পেড়েছে। বৃহস্পতিবারের ডিমটি আগের দিনেরটার চেয়ে কম কালো। এক স্থানে নীলচে ছোপ। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। লোকজন এখন ওই ডিম দেখতে আসছে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী