শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১ |   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দলের ব্যর্থতার দিনে এবাদতের আক্ষেপ, কেউ রিভিউ নিল না

প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩ ০১ ০১  

দলের-ব্যর্থতার-দিনে-এবাদতের-আক্ষেপ-কেউ-রিভিউ-নিল-না

দলের-ব্যর্থতার-দিনে-এবাদতের-আক্ষেপ-কেউ-রিভিউ-নিল-না

এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লংকানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে টি-২০তে ৭৭তম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয় পেসার এবাদত হোসেনের। সাইফউদ্দিনের পরিবর্তে দলে নেয়া হয় এবাদতকে। অতছ ম্যাচ শেষে দলের ব্যর্থতার দিনে এবাদতের আক্ষেপ নিয়েই থাকতে হলো। খেলতে নেমেই শুরুর স্পেলে লংকার ৩ উইকেট তুলে নিয়ে তার অভিষেককে স্মরণীয় করে রাখলেন এবাদত হোসেন। প্রথম স্পেলে এসে প্রথম ওভারেই তুলে নেন ২ উইকেট।  

ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে বল হাতে জোড়া আঘাত হানেন এ ম্যাচে অভিষিক্ত এবাদত হোসেন। প্রথমে নিশাংকাকে মুস্তাফিজুর রহমান ও এরপর চারিথ আসালাঙ্কাকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। কিন্তু দিন শেষে যেন ম্যাচ হারের সব দায় তার কাঁধেই। 

তারই করা বলে কুশল ধরা পড়েন মুশফিকের হাতে। অথচ এ বলে কেউ রিভিউই নিল না। নিলে তা আউট হতো। তাছাড়া ৪ ওভার বল করে উইকেট তুলে নিলেও এবাদত দিয়েছেন ৫১ রান। মূলত এবাদতের শেষের দু ওভারেই দলের জয় ফসকে যায় হাত থেকে।  

ডু-অর ডাই ম্যাচ, এই সমীকরণে খেলতে নেমে দুবাইয়ের মাঠে টাইগার ব্যাটাররা নিজেদের দায়িত্বটা সঠিকভাবেই পালন করলেও সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন এবাদত-মেহেদীরা। এদিন বোলারদের ব্যর্থতার সাথে ছিল বাজে ফিল্ডিং, ক্যাচ মিস ও ওয়াইড-নো বলের অতিরিক্ত রান। 

এমনকি উইকেটের পেছন থেকে মুশফিক মিস করে গেছেন কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে বল লাগার শব্দ, যার ফলে রিভিউ নিয়ে আরও আগেই এই ব্যাটসম্যানকে ফেরানোর সুযোগ হেলায় হারিয়েছে বাংলাদেশ। 

ম্যাচ হারের পর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, তাকে রিভিউ নেওয়ার কথা বলেনি কেউ।

শুরু থেকেই এদিন লংকান ব্যাটারদের চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই কুশল মেন্ডিস ড্রাইভ করলে বল উইকেটের পেছনের ডানদিকে যায় মুশফিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচটা গ্লাভসে নিয়েও ধরে রাখতে পারেননি। 

এরপর আবার কুশল বল পুল করতে গিয়ে দিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক মুশফিকের হাতে। আবেদন হলেও আম্পায়ার সে আবেদনে সাড়া দেননি। পরে স্নিকোমিটারে দেখা যায়, বল ব্যাটে লেগেই গেছে মুশফিকের হাতে। তখন কেউই রিভিউ নিতে আগ্রহ দেখায়নি। এ নিয়ে ম্যাচ শেষে হতাশা ঝরেছে অধিনায়কের কন্ঠে।

এ বিষয় নিয়ে সাকিব বলেন, ‘কেউই শুনেনি আসলে, এখন কি বলব। আমি তো কাভারে ছিলাম। মিড উইকেট, শর্ট মিড উইকেটে যে ছিল কেউই বলেনি যে ভাই নেন রিভিউ। বা রিভিউটা নেওয়া যায় কিনা। আমরা অনেক আবেগপ্রবণ দল। এই একটা জায়গায় আমাদের উন্নতি করতে হবে। খেলাটা মাথা দিয়ে খেলতে হবে, বাড়তি মন দিয়ে নয়।’

ম্যাচ হারের পর দুবাইয়ের স্টেডিয়াম থেকে চোখে পানি নিয়ে বের হতে দেখা গেছে শতশত বাঙালি দর্শকদের। 

অনেকে গণমাধ্যমের সামনে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি, তুলেছেন কয়েক ক্রিকেটারের অবসরের দাবিও।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী