শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১ |   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কাতারের মধ্যস্ততায় পারমাণবিক চুক্তি পর্যালোচনায় ইরান

প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২২ ১৬ ০৪ ০২  

কাতারের-মধ্যস্ততায়-পারমাণবিক-চুক্তি-পর্যালোচনায়-ইরান

কাতারের-মধ্যস্ততায়-পারমাণবিক-চুক্তি-পর্যালোচনায়-ইরান

২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি নিয়েইউরোপীয় ইউনিয়নের ড্রাফটের সাড়া দিতে ইরানকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতদিন সাড়া দিলেও কাতারের ধারাবাহিক মধ্যস্ততার চেষ্টায় আহ্বানটির পর্যালোচনা করছে ইরান। এজন্য আরো কয়েকদিন সময় নেবে তারা।

নূরনিউজের বরাতে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানের বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এ সপ্তাহের শেষ দিন পর্যন্ত সময় অন্তত লাগবে।   

ইরানের সাপ্তাহিক কার্যদিবস মূলত শেষ হয় শুক্রবার। তাই আগামী ২ সেপ্টেম্বরের আগে ইরানের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মিলবে না।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের সাড়াকে যুক্তিযুক্ত হিসেবে বর্ণনা করছেন। তিনি আরো বলেন, যদি সম্ভব হয়, তবে ভিয়েনায় আরো কয়েকটি সভার পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে পারমাণবিক চুক্তির চূড়ান্ত কাজ করা হবে। 

এদিকে, গত জুনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যস্ততায় কাতারের আয়োজনে তেহরান ও ওয়াশিংটনের পরোক্ষ বৈঠক হয়েছে। দুই পক্ষ থেকেই এখন পর্যন্ত নির্ভরযোগ্য বার্তা পাওয়া গেছে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী আঞ্চলিক সম্পর্কিত বৈদেশিক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ বিন আল খুলাইফি গত শনিবার তেহরানে ইরানের প্রধান আলোচক আলী বাগহেরি কানির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেন।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিজেদের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য পারমাণবিক চুক্তি পুনরায় এগিয়ে নেয়ার জোর দেন আল খুলাইফি। 

এরপরই কাতার কর্তৃপক্ষ পারমাণবিক চুক্তির সমন্বয়ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইরোকো মোরার সঙ্গে ফোনালাপ করেছিল। তবে কাতার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিজেদের সভার বিষয়ে কোনো মন্তব্য বা তথ্য প্রকাশ করেনি ইরান।

২০১৮ সালে একতরফভাবে যৌথভাবে কম্প্রেহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) চুক্তি থেকে বের হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটি। যার প্রভাব এখনো পর্যন্ত চলমান রয়েছে।

যদি পারমাণবিক চুক্তি সম্পন্ন হয় তবে ইরানের ওপর থেকে হাজার হাজার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তেহরানও আশা করছে যে, পারমাণবিক অস্ত্রের প্রোগ্রাম কমানো সম্ভব হবে। 

অন্যদিকে, এ নিয়ে ইরান বা যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দুই পক্ষের সমস্যা এখনো চলমান আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী
    এই বিভাগের আরো খবর