শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪ |  অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১ |   ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অসহায় শিশু জুনায়েদের পাশে ডিসি

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬ ০৪ ০২  

অসহায়-শিশু-জুনায়েদের-পাশে-ডিসি

অসহায়-শিশু-জুনায়েদের-পাশে-ডিসি

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার দুধি গ্রামের ১১ বছরের শিশু মো. জুনায়েদ। তার বাবা মো. জুয়েল মিয়া একজন অটোরিকশা চালক। কয়েক বছর আগে অন্য শিশুদের সেঙ্গে খেলার সময় দুর্ঘটনায় একটি বাঁশের আঘাতে শিশু জুনায়েদের ডান চোখ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চোখের চিকিৎসায় প্রাথমিকভাবে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হওয়ায় অটোরিকশা চালক বাবার পক্ষে সম্ভব হয়নি তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। প্রথমে কিছুদিন ময়মনসিংহের বিভাগীয় হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করলেও পরবর্তীতে অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যায় জুনায়েদের চিকিৎসা। 

নিয়তির কাছে হার মেনে সেই কোটর থেকে বেরিয়ে থাকা চোখের তীব্র যন্ত্রণা আর সেইজন্য সৃষ্ট অনান্য শারীরিক সমস্যাকে নিত্য সঙ্গী করে বছরের পর বছর চলে যাচ্ছিল দারিদ্র পীড়িত জুনায়েদের জীবন। দিন দিন চোখের সঙ্গে সঙ্গে কপালসহ মুখমণ্ডলের একাংশ ফুলে উঠতে থাকে আর সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে জুনায়েদের যন্ত্রণা। 

সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পোস্ট ডিসি অঞ্জনা খান মজলিশের দৃষ্টিতে পড়ে। পরে জেলা প্রশাসক খোঁজ নিয়ে জুনায়েদকে তার অভিভাবকসহ তার কার্যালয়ে আসার আহ্বান জানালে রোববার বিকেলে শিশু জুনায়েদ ডিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। 

এ সময় ডিসি তাৎক্ষণিকভাবে জুনায়েদের চিকিৎসা বাবদ নগদ ১০ হাজার টাকার সহায়তা প্রদান করেন এবং অতিদ্রুত সুচিকিৎসার জন্য জুনায়েদকে তার অভিভাবকসহ ঢাকার বিশেষায়িত চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হবে এবং এ সংক্রান্ত ব্যবস্থা গ্রহণে জেলার সমাজেসবা অধিদফতরকে এক মৌখিক নির্দেশ দেন ডিসি ৷ 

গণমাধ্যমকর্মী রাজীব সরকার বলেন, আশার আলো দেখছে ছোট্ট জুনায়েদ ও দারিদ্র্যের শিকার তার অসহায় পরিবার। আশার আলো দেখছে নেত্রকোনার সুনাগরিক সমাজ। কোমলপ্রাণ ও মানবিকতার যে বিশুদ্ধ চর্চা নেত্রকোনার জনপ্রিয় জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ মহোদয় প্রতিষ্ঠা করছেন, তার সুবাতাস ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসহায় মানুষের জন্য হবে এক নতুন জীবনের নতুন আশার সঞ্চালক। 

Provaati
    দৈনিক প্রভাতী